ভারতে “অপরেশন কাগার” ও ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে
ICSPWI’র আহ্বানে ৭-১২ এপ্রিল’২৫ আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ সপ্তাহ পালিত

ভারতে “অপরেশন কাগার” ও ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে
ICSPWI’র আহ্বানে ৭-১২ এপ্রিল’২৫ আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ সপ্তাহ পালিত
আন্দোলন প্রতিবেদন
রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | অনলাইন সংস্করণ
‘অপরেশন কাগার’র নামে ভারতরাষ্ট্র মাওবাদী এবং সাধারণ কৃষক-আদিবাসীদের গণহত্যার এক নতুন বর্বর অভিযান শুরু করেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪০০’রও বেশি মাওবাদী কর্মী ও সাধারণ আদিবাসী শহিদের মৃত্যুবরণ করেছেন। ভারতের হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্ট মোদি সরকার ঘোষণা দিয়েছে, এই অভিযানের মাধ্যমে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে সিপিআই (মাওবাদী) ও তাদের সংগ্রাম’কে নির্মূল করে ভারতকে মাওবাদ মুক্ত করবে। অন্যদিকে, ইতোমধ্যে মার্কিন মদদপুষ্ট জায়নবাদী ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির নীতি লঙ্ঘন করে পুনরায় ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে।
এসবের বিরুদ্ধে ICSPWI [ইন্টারন্যাশনাল কমিটি টু সাপোর্ট দ্য পিপল’স ওয়ার ইন ইন্ডিয়া (ICSPWI)] সমগ্র বিশ্বের সকল মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি, সংগঠন ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগঠন-শক্তিকে মোদি সরকারের চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে এপ্রিল’২৫-মার্চ’২৬ পর্যন্ত বছরব্যাপী প্রচারাভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছে। একই সাথে মোদি সরকারের মাওবাদী দমন-গণহত্যার সাথে ফিলিস্তিনের গণহত্যার প্রতিবাদকে যুক্ত করে ৭-১২ এপ্রিল’২৫ প্রচারাভিযানের প্রথম সপ্তাহ পালিত হয়েছে।
ইতালির মিলান-এ ‘প্রোলেতারি কমুনিস্তি’-এর উদ্যোগে সিপিআই (মাওবাদী) এবং ভারতীয় জনগণের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তারা ভারতের পাশাপাশি মার্কিন ও পশ্চিমা সামাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ জানান এবং ভারতীয় মাওবাদীদের সংগ্রামকে বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী এবং সর্বহারা বিপ্লবী আন্দোলনের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
তিউনিসিয়ার ‘তিউনিস’ শহরে আমেরিকান, ব্রিটিশ, জার্মান, ইতালিয়ান, ফরাসি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এই সময় ফরাসি দূতাবাসের সামনে পুলিশের সাথে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। এছাড়াও ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে পোস্টারিং, মিছিল, আলোচনা সভা, বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে এই প্রতিরোধ সপ্তাহটি পালিত হয়। বিবৃতিতে মাওবাদী নিধনের নামে জনগণের ন্যায়সঙ্গত লড়াই-সংগ্রাম দমন এবং আদিবাসী হত্যার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ভারতের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে সাম্রাজ্যবাদী ও ইসরায়েলি স্বার্থরক্ষাকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ব্রাজিলে ‘নয়া বিপ্লবী জনগণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন’ বিভিন্ন বিবৃতি, পোস্টার এবং আলোচনা সভার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহটি পালন করেছে।
ইতোপূর্বে বাংলাদেশের নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা ঢাকার প্রেসক্লাবে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে এবং সভাশেষে ট্রাম্প, নেতানিয়াহু, মোদি, পুতিন এবং শি জিন-পিং’র কুশপুত্তলিকা দাহ করে। ‘শহিদ-বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিক স্মৃতি সংসদ’র উদ্যোগে বাংলাদেশের বিপ্লবী-গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল সংগঠন-শক্তি ও ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়েছিল। ‘বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন’ এবং ‘জনগণতান্ত্রিক ছাত্র সঙ্ঘ’ ভিন্ন ভিন্ন পোস্টার-বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে এই প্রতিরোধ সপ্তাহের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদী মিছিল করা হয় এবং মার্কিন ও ইসরায়েলের পতাকা এবং উপরোল্লিখিত ফ্যাসিস্ট নেতাদের ছবি পোড়ানো হয়। এই সব প্রতিবাদ-সংগ্রাম মার্কিন মদদে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা এবং কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থে ভারতের আদিবাসী জনতার জল-জঙ্গল-জমিন কেড়ে নেয়া ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সংগ্রামের অংশ। অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, আফগানিস্তান, তুরস্ক ছাড়াও এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে সপ্তাহটি পালনের খবর আসছে।
১২ এপ্রিল, ২০২৫
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভারতে “অপরেশন কাগার” ও ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে
ICSPWI’র আহ্বানে ৭-১২ এপ্রিল’২৫ আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ সপ্তাহ পালিত
‘অপরেশন কাগার’র নামে ভারতরাষ্ট্র মাওবাদী এবং সাধারণ কৃষক-আদিবাসীদের গণহত্যার এক নতুন বর্বর অভিযান শুরু করেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪০০’রও বেশি মাওবাদী কর্মী ও সাধারণ আদিবাসী শহিদের মৃত্যুবরণ করেছেন। ভারতের হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্ট মোদি সরকার ঘোষণা দিয়েছে, এই অভিযানের মাধ্যমে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে সিপিআই (মাওবাদী) ও তাদের সংগ্রাম’কে নির্মূল করে ভারতকে মাওবাদ মুক্ত করবে। অন্যদিকে, ইতোমধ্যে মার্কিন মদদপুষ্ট জায়নবাদী ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির নীতি লঙ্ঘন করে পুনরায় ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে।
এসবের বিরুদ্ধে ICSPWI [ইন্টারন্যাশনাল কমিটি টু সাপোর্ট দ্য পিপল’স ওয়ার ইন ইন্ডিয়া (ICSPWI)] সমগ্র বিশ্বের সকল মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি, সংগঠন ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগঠন-শক্তিকে মোদি সরকারের চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে এপ্রিল’২৫-মার্চ’২৬ পর্যন্ত বছরব্যাপী প্রচারাভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছে। একই সাথে মোদি সরকারের মাওবাদী দমন-গণহত্যার সাথে ফিলিস্তিনের গণহত্যার প্রতিবাদকে যুক্ত করে ৭-১২ এপ্রিল’২৫ প্রচারাভিযানের প্রথম সপ্তাহ পালিত হয়েছে।
ইতালির মিলান-এ ‘প্রোলেতারি কমুনিস্তি’-এর উদ্যোগে সিপিআই (মাওবাদী) এবং ভারতীয় জনগণের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তারা ভারতের পাশাপাশি মার্কিন ও পশ্চিমা সামাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ জানান এবং ভারতীয় মাওবাদীদের সংগ্রামকে বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী এবং সর্বহারা বিপ্লবী আন্দোলনের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
তিউনিসিয়ার ‘তিউনিস’ শহরে আমেরিকান, ব্রিটিশ, জার্মান, ইতালিয়ান, ফরাসি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এই সময় ফরাসি দূতাবাসের সামনে পুলিশের সাথে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। এছাড়াও ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে পোস্টারিং, মিছিল, আলোচনা সভা, বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে এই প্রতিরোধ সপ্তাহটি পালিত হয়। বিবৃতিতে মাওবাদী নিধনের নামে জনগণের ন্যায়সঙ্গত লড়াই-সংগ্রাম দমন এবং আদিবাসী হত্যার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ভারতের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে সাম্রাজ্যবাদী ও ইসরায়েলি স্বার্থরক্ষাকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ব্রাজিলে ‘নয়া বিপ্লবী জনগণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন’ বিভিন্ন বিবৃতি, পোস্টার এবং আলোচনা সভার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহটি পালন করেছে।
ইতোপূর্বে বাংলাদেশের নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা ঢাকার প্রেসক্লাবে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে এবং সভাশেষে ট্রাম্প, নেতানিয়াহু, মোদি, পুতিন এবং শি জিন-পিং’র কুশপুত্তলিকা দাহ করে। ‘শহিদ-বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিক স্মৃতি সংসদ’র উদ্যোগে বাংলাদেশের বিপ্লবী-গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল সংগঠন-শক্তি ও ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়েছিল। ‘বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন’ এবং ‘জনগণতান্ত্রিক ছাত্র সঙ্ঘ’ ভিন্ন ভিন্ন পোস্টার-বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে এই প্রতিরোধ সপ্তাহের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদী মিছিল করা হয় এবং মার্কিন ও ইসরায়েলের পতাকা এবং উপরোল্লিখিত ফ্যাসিস্ট নেতাদের ছবি পোড়ানো হয়। এই সব প্রতিবাদ-সংগ্রাম মার্কিন মদদে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা এবং কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থে ভারতের আদিবাসী জনতার জল-জঙ্গল-জমিন কেড়ে নেয়া ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সংগ্রামের অংশ। অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, আফগানিস্তান, তুরস্ক ছাড়াও এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে সপ্তাহটি পালনের খবর আসছে।
১২ এপ্রিল, ২০২৫
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র